Showing posts with label Ichchhamoti. Show all posts
Showing posts with label Ichchhamoti. Show all posts

Saturday, July 18, 2009

ইচ্ছামতী বর্ষা সংখ্যা ২০০৯ প্রকাশিত হল

একটু দেরিতে হলেও, ইচ্ছামতীর বর্ষা সংখ্যা ২০০৯ অবশেষে এসে গেলো। এই সংখ্যায় আমাদের পাওনা অষ্টম শ্রেনীর পড়ুয়া ঋদ্ধির লেখা গল্প। সাথে আছে রাস্কিন বন্ডের অনুবাদ গল্প, লুপ্তপ্রায় প্রানী প্যাঙ্গোলিন কে নিয়ে জানা-অজানা, রবি ঠাকুরের বৈঠকী মেজাজের গল্প, আর ফুলিয়াপাড়ায় শাড়ি বোনার কাহিনী। সাথে আছে অন্যান্য নিয়মিত বিভাগ।
বর্ষা সংখ্যা পড়ে কেমন লাগলো জানিও কিন্তু আমাদেরকে।

Friday, May 8, 2009

গ্রীষ্ম সংখ্যা ২০০৯ প্রকাশিত

ইচ্ছামতীর চতুর্থ সংখ্যা গ্রীষ্ম সংখ্যা ২০০৯ প্রকাশিত হল আজ এই সংখ্যায় একটু করে থাকছেন রবি ঠাকুর আর সত্যজিত থাকছে নববর্ষের গল্প ও দেশে-বিদেশে এবার আমরা বিশ্ব-ভ্রমনে যাচ্ছি সাইমন আর ফার্গালের সঙ্গে দেখতে যাচ্ছি মাটির নীচের এক অদ্ভূত রাজপ্রাসাদ অন্যান্য নিয়মিত বিভাগের সঙ্গে থাকছে ছোট্ট বন্ধু সোহিনীর লেখা বেড়ানোর গল্প

Monday, March 9, 2009

'ইচ্ছামতী' বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সম্পূর্ণরূপে ছোটদের জন্য ই-পত্রিকা ছোটদের জন্য, আর যারা দেখতে বড়, কিন্তু মনে মনে ছোট -তাদেরও জন্য, এসেছে 'ইচ্ছামতী' দ্বিমাসিক ই-পত্রিকা

২০০৮ সালের পুজোর আগে ছোট্ট আকারে প্রথম প্রকাশ হয় 'ইচ্ছামতী'- শরত সংখ্যা ২০০৮ ডিসেম্বর মাসে প্রকাশ হয়েছে শীত সংখ্যা ২০০৮ আর মার্চ মাসের ৭ তারিখে এসেছে বসন্ত সংখ্যা ২০০৯

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি -বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু কৈশোরে স্কুলের বাংলা রচনার ক্লাসে 'বাংলার ঋতুবৈচিত্র' লেখা দিয়ে বাংলার মাটি, বাংলার প্রকৃতির, আর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসা তখন কিছুটা বুঝে, কিছুটা না বুঝে, ঋতুবৈচিত্রের রচনাকে সমৃদ্ধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথকে উল্লেখ করতে শিখেছিলাম যত্রতত্র যত বড় হয়েছি, তত ধীরে ধীরে নিজের মত করে অনুভব করতে শিখেছি এই বার্ষিক পরিবর্তনকে গ্রীষ্মের নিঝুম দুপুরে কাঠফাটা রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে হটাৎ ই বুঝতে পেরেছি কেন রবি ঠাকুর লিখেছিলেন -'প্রখর তপন তাপে, আকাশ তৃষায় কাঁপে...'... বসন্তের আগমনে কৃষ্ণচুড়ার ফুল ফুটতে দেখে নিজের অজান্তে গেলে উঠেছি -'ফাগুন লেগেছে বনে বনে' অবশ্যই তখন অবধি পরিবেশ অনেক স্বচ্ছ ছিল, দূষণের প্রকোপ এতো বেশি ছিলনা, আর মহানগর থেকে অনেক দূরে আমার শৈশবের সেই গোছানো শিল্পনগরীর গাছে ছাওয়া পথগুলিতে ছয় ঋতুর স্পষ্ট এবং অবাধ আনাগোনা ছিল ছিল মহানগরের কাছাকাছি আম-কাঁঠালের ছায়ায় ঘেরা ছোট শহরতলি গুলিতেও তাই যখন আমরা দুই বন্ধুতে সিদ্ধান্ত নিলাম 'ইচ্ছামতী'কে গড়ে তোলার, তখন, সারা বছরের ছয়টি সংখ্যার ঋতুভিত্তিক নামকরনই আমাদের কাছে সবথেকে সহজ ছিল বাংলার আকাশে বাতাসে যে ভাবে নিজস্ব মহিমায় আসে একেকটি ঋতু, সেই বহুবিধ বর্ণে-গন্ধেই ভরিয়ে তুলতে চেয়েছি 'ইচ্ছামতী'কে সেই হিসেবেই, ২০০৮ সালের মহালয়ার দুই দিন আগে, ২৭শে সেপ্টম্বর, 'ইচ্ছামতী' প্রকাশ হল তার শরৎ সংখ্যা নিয়েতারপর এসেছে শীত সংখ্যা এবং বসন্ত সংখ্যা

আজকের পৃথিবীতে, যেখানে মোবাইল টাওয়ারের গগনচুম্বী উচ্চতার খোঁজে দিশা হারিয়ে ফেলে ঘুলঘুলিতে বাসা করে থাকা ছোট্ট চড়াই, কচিকাঁচাদের বিকেলগুলি কাটে কুমির-ডাঙ্গার বদলে ভিডিও গেমস খেলে, লালকমল-নীলকমল আর বুদ্ধু-ভুতুম হারিয়ে যায় কার্টুন চ্যানেলের থার্ড-ডাইমেনশনে, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট আর এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাকটিভিটির দাপটে সময় থাকেনা রান্না-বাটি খেলার ...গ্যাজেট,প্রযুক্তি আর ইঁদুর-দৌড় পরিপূর্ণ এই শৈশব ও কৈশোরের জন্য একটু স্বাদবদলের প্রচেষ্টা নিয়ে 'ইচ্ছামতী'র যাত্রা শুরু

প্রথম সংখ্যার তুলনায় 'ইচ্ছামতী'র পরবর্তী সংখ্যা দুটি আয়তনে বড় 'ইচ্ছামতী'কে একটি স্বয়ংসম্পূর্ন ছোটদের পত্রিকা রূপে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছি আমরা শুধুমাত্র গল্প বা কবিতা নয়, বাংলা ভাষা এবং বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং ভালোলাগাকে ভাগ করে নিতে চাই ছোটদের সাথে

এই ভাবনা মাথায় রেখে আমরা 'ইচ্ছামতী'তে কয়েকটি বিশেষ বিভাগ রেখেছি 'মনের মানুষ' বিভাগে আমরা বাংলার জনপ্রিয় শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে কথা বলছি 'পড়ে পাওয়া' বিভাগে আমরা কোন একজন শিশু-সাহিত্যিক এর আত্মজীবনী বা ডায়রি বা অন্য কোন লেখা থেকে কিছুটা অংশ তুলে দিচ্ছি পরবর্তী সংখ্যায় সেই সাহিত্যিক এর সম্বন্ধে আমরা জানতে পারছি 'গত সংখ্যায় পেয়েছি' বিভাগে এই বিভাগ আমরা শুধুমাত্র সাহিত্যিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব না, জীবনের যে কোন দিশায় পথিকৃত বিখ্যাত বাঙালিদের কথা থাকবে এই বিভাগে

'ইচ্ছামতী'র দুটি বিশেষ ধারাবাহিক বিভাগ হল 'বায়োস্কোপের বারোকথা ' আর 'আমার ছোট্টবেলা' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শ্রী সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এই বিভাগের জন্য লিখছেন বাংলাভাষায় ছোটদের জন্য বিশ্ব-চলচ্চিত্রের ইতিহাস নিয়ে লেখা সম্ভবতঃ এই প্রথম অন্য দিকে, 'আমার ছোট্টবেলা' হল পূর্ব্ববঙ্গে [অধুনা বাংলাদেশ] শৈশব কাটানো এক মানুষের অনাবিল স্মৃতিকথা

এছাড়া আছে খেলা, বিজ্ঞান, জানা-অজানা, কমিকস এর গল্প এবং ছবির খবর নিয়ে আলাদা করে একেকটি বিভাগ আমাদের 'দেশে-বিদেশে' বিভাগটি প্রথম থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বিভাগে আমাদের লেখকরা ছবি সহযোগে সরস ভ্রমণকাহিণী লিখছেন

ছোটরা তাদের আঁকা ছবি পাঠাতে পারে 'আঁকিবুকি' বিভাগে তারা অন্য যে কোন রকমের লেখাও পাঠাতে পারে 'ইচ্ছামতী' কে এই পত্রিকা ছোটদেরই জন্য, তাই ছোটদেরই অগ্রাধিকার সবসময় আর বড়রা লিখতে পারেন ছোটদের মত করে ছোটদের কথা

'ইচ্ছামতী' চায় সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে, বিশেষ করে ছোটদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বাংলার সেই চিরপরিচিত সুঘ্রাণ, যা মিশে আছে আমাদের বড় হয়ে ওঠার প্রতিটি মূহুর্তের মধ্যে

এই আন্তর্জালের যুগে আন্তর্জালকেই 'ইচ্ছামতী' নিজের কথা বলার প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে

'ইচ্ছামতী' [http://www.ichchhamoti.org] বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এটি W3C কোডিং মেনে তৈরি করা আর কিছুদিনের মধ্যেই এই ওয়েবসাইটকে accessible করে দেওয়ার ইচ্ছা আছে আমাদের

আমাদের সমস্ত পাঠকের কাছে আমাদের অনুরোধ, 'ইচ্ছামতী' পড়ুন বাড়ির ছোটদের পড়ান আশেপাশের অন্যান্য ছোটদেরকে জানান 'ইচ্ছামতী'র কথা 'ডিসনি', 'কার্টুন নেটওয়ার্ক' বা 'উইকিপিডিয়া'র ওয়েবসাইট দেখার সাথে সাথে 'ইচ্ছামতী'কেও ভালোবাসতে শেখান

'ইচ্ছামতী'র কাছে লেখা পাঠান 'ইচ্ছামতী'র সঙ্গে যোগাযোগ এর ঠিকানা -ichchhamoti@gmail.com. বিদেশের বন্ধুরা, বিশেষ করে বাংলাদেশের বন্ধুরা, আপনাদের কাছে 'ইচ্ছামতী'র দাবি অনেক আপনাদের থেকে আমরা 'ইচ্ছামতী'কে সমৃদ্ধ করার জন্য লেখা চাই আমাদের আশা, ইচ্ছামতী বাংলাদেশ এবং ভারতের, এবং অবশ্যই সারা বিশ্বের সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী সব বয়সী মানুষকে উৎসাহিত করবে বাংলা ভাষায় শিশু-সাহিত্যের ক্ষেত্রকে আরো সমৃদ্ধ করতে 'ইচ্ছামতী' একদিন হয়ে উঠবে বাংলা ভাষাভাষী শিশু-কিশোরদের আন্তর্জাতিক এবং আন্তর্জালিক মিলনস্থল তবেই আসবে ' ইচ্ছামতী'র নামকরনের সার্থকতাও

মহাশ্বেতা রায়
সম্পাদক, ইচ্ছামতী
পাটুলি, কলকাতা
http://mahasweta.wordpress.com

কল্লোল লাহিড়ী
সহ-সম্পাদক, ইচ্ছামতী
উত্তরপাড়া, হুগলী
http://likhtebase.blogspot.com